মুজিবনগর দিবস আজ, ১৭ এপ্রিল ২০১৩


আজ ১৭ এপ্রিল ২০১৩
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করার জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবস উদযাপনের সকল প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। তখন মেহেরপুর মুক্ত এলাকা ছিল। ইতিপূর্বে ১০ এপ্রিল এমএনএ ও এমপিদের কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও পাক হানাদার বাহিনীকে আমাদের স্বদেশ ভূমি থেকে বিতাড়িত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত এবং নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের জন্য এই সরকার গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এইচএম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তদানীন্তন কর্নেল এমএজি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ১০ এপ্রিল গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। এই ঘোষণার ৬ষ্ঠ অনুচ্ছেদে বলা হয় বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখ-তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। ও নবম অনুচ্ছেদে বলা হয় যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ¬øবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাহাদের কার্যকরী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকার বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়াছেন সেই ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করিয়া পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্র্তব্য- সেইহেতু আমরা বাংলাদেশকে রূপায়িত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিতেছি এবং উহা দ্বারা, পূর্বাহ্নে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করিতেছি। এতদ্বারা আমরা আরো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতেছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। রাষ্ট্্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদেও অধিষ্ঠিত থাকিবেন। রাষ্ট্রপ্রধানই সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন-প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী। নবজাত রাষ্ট্রের এই সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ ও দেশি-বিদেশি সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও নবগঠিত সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান সেনাপতি ভাষণ দেন। এমনিভাবেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সংসদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকারের জগৎ সভায় আত্মপ্রকাশ করে। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিব নগর সরকার গঠন বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথা সাফল্যের স্বাক্ষর বটে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত দিনটিকে প্রতিবারের ন্যায় সমগ্র দেশবাসীর সাথে একত্রিত হয়ে এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে স্মরণ ও পালন করবে।



অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এডভোকেট-এর বাণীঃ দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এডভোকেট বলেছেন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমি এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আরো স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে যাদের নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালিত হয়েছিল। সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক সংগঠকসহ সকল স্তরের জনগণকে আমি শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার শপথ নেয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ বিশ্ব দরবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুত সফল পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাই মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দিনবদলের সনদ তথা ভিশন-২০২১ ঘোষণা করেছেন। পরিবর্তনের এ অঙ্গিকার বাস্তবায়নে আমি দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানাই। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে দেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানুক এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হোক এই কামনা করি।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীঃ দিবসটি উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধনিতা সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৭ এপ্রিল বর্তমান মেহেরপুর জেলার আম্রকাননে সরকার শপথ গ্রহণ করে। ঘোষিত হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। সেদিন থেকে এ স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিত লাভ করে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি জাতির পিতাকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচ কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। তিনি বলেন, মুক্তিকামী সকল স্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রেখে এই সরকার দীর্ঘ নয় মাস দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। এবং ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি দেশবাসীকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেয়া বাণীতে আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার চলছে এবং রায় দেয়াও শুরু হয়েছে। এ বিচার বাধাগ্রস্ত করতে এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধ্বংস করতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মাঠে নেমেছে এ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের একাত্ম হওয়ার আহবান জানাই।


আওয়ামী লীগের কর্মসূচিঃ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দলীয় সূত্র জানায়, এই ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত দিনটিকে প্রতিবারের ন্যায় সমগ্র দেশবাসীর সাথে একত্রিত হয়ে এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রযেছে- ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় এবং দেশের সকল জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং রাজশাহীতে এএইচএম কামারুজ্জামান-এর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ১১টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল সোয়া ১১টায় গার্ড অব অনার। সকাল সাড়ে ১১টায় মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও মুজিবনগর দিবস উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসিম। এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল¬øী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি। এছাড়াও মেহেরপুরের অনুষ্ঠানমালায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও মুজিবনগর দিবস উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোস, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, শ্রী সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ অংশগ্রহণ করবেন।