মেহেরপুরের উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব হলেন- দরবেশ মেহের আলী, সাফদার আলী বিশ্বাস, মোঃ আব্দুল হান্নান, ডক্টর মোঃ সামসুজ্জোহা, ডক্টর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ডক্টর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান প্রমূখ।
দরবেশ মেহেরআলীঃ দরবেশ মেহের আলীর নামানুসারে মেহেরপুরের নামকরণ করা হয়। তার পদচারনায় মেহেরপুরের ব্যাপক পরিবর্তন আসে। মেহের আলী ১৬০৫ খ্রীষ্টাব্দে ইয়ামন শহরের খ্যাতিময় কোনিয়া বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কোরআনে হাফেজ, শরিয়ত, হাকিকত, হাদিস ও তাছাউফ, তফসীর ও ফেকা শাস্ত্রে ব্যাপক জ্ঞান লাভ করেন। এরপর তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারত উপমহাদেশে আসেন। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে তিনি ১৬৫৯ সালের দিকে তিনি মেহেরপুরে উপস্থিত হন। তিনি এখানে একটি দরবার শরীফ নির্মাণ করেন। অনুমান করা হয় ১৬৬০-১৬৬১ সালের দিকে এই দরবার শরীফটি নির্মান করা হয়। মেহের আলী শাহ মেহেরপুরে ইসলামের প্রসারতা লাভে অসংখ ইসলাম অনুরাগী ব্যাক্তিত্ব সৃষ্টি করেছিলেন।
সাফদার আলী বিশ্বাসঃ এ জেলার শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে ১৯৪০ সালের পরবর্তী তিন দশক পর্যন্ত এক স্বর্ণ সিঁড়ি প্রোথিত করে গেছেন সাফদার আলী বিশ্বাস। তাঁর চেয়েও অনেক শিক্ষাবিদ উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করে আজ পৃথিবীর বহু স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সাফদার আলী জীবনে নিজেই শিক্ষাবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করনেনি- প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন শিক্ষা অর্জনের জন্য অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯০৭ সালের ১লা জুলাই তৎকালীন অবিভক্ত নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহাকুমার তেহট্ট থানার গরীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এবং তিনি ১৯৮৩ সালের ৩০শে অক্টবর ইন্তেকাল করেন। মেহেরপুরের শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে সাফদার আলী এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
মোঃ আব্দুল হান্নানঃ ইতিহাস খ্যাত ও মুক্তিযোদ্ধা এমএ হান্নান অবিভক্ত বাংলায় নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভক্তির পর আমঝুপিতে বসবাসের জন্য সম্পত্তি বিনিময় করেন। আমঝুপিতে থাকাকালিন সময়ে জীবিকার সন্ধানে চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। তারপর বাংলাদেশ আওয়ামীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামে বিভাগীয় শ্রমীকলীগের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঐতিহাসিক চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেন। তাঁর নামে চট্টগ্রামে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম করণ করা হয়েছে।
ডক্টর মোঃ সামসুজ্জোহাঃ মেহেরপুর জেলার আরেক কৃতি সন্তান ড. মোঃ সামসুজ্জোহা বাংলা ১৩২৯ সনে ৯ই আশ্বিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নিজ যোগ্যতায় ১৯৬৩-১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এবং ১৯৭৩-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৭-১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি ইরাকে চাকরি করেন।
দরবেশ মেহেরআলীঃ দরবেশ মেহের আলীর নামানুসারে মেহেরপুরের নামকরণ করা হয়। তার পদচারনায় মেহেরপুরের ব্যাপক পরিবর্তন আসে। মেহের আলী ১৬০৫ খ্রীষ্টাব্দে ইয়ামন শহরের খ্যাতিময় কোনিয়া বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কোরআনে হাফেজ, শরিয়ত, হাকিকত, হাদিস ও তাছাউফ, তফসীর ও ফেকা শাস্ত্রে ব্যাপক জ্ঞান লাভ করেন। এরপর তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারত উপমহাদেশে আসেন। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে তিনি ১৬৫৯ সালের দিকে তিনি মেহেরপুরে উপস্থিত হন। তিনি এখানে একটি দরবার শরীফ নির্মাণ করেন। অনুমান করা হয় ১৬৬০-১৬৬১ সালের দিকে এই দরবার শরীফটি নির্মান করা হয়। মেহের আলী শাহ মেহেরপুরে ইসলামের প্রসারতা লাভে অসংখ ইসলাম অনুরাগী ব্যাক্তিত্ব সৃষ্টি করেছিলেন।
সাফদার আলী বিশ্বাসঃ এ জেলার শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে ১৯৪০ সালের পরবর্তী তিন দশক পর্যন্ত এক স্বর্ণ সিঁড়ি প্রোথিত করে গেছেন সাফদার আলী বিশ্বাস। তাঁর চেয়েও অনেক শিক্ষাবিদ উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করে আজ পৃথিবীর বহু স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সাফদার আলী জীবনে নিজেই শিক্ষাবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করনেনি- প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন শিক্ষা অর্জনের জন্য অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯০৭ সালের ১লা জুলাই তৎকালীন অবিভক্ত নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহাকুমার তেহট্ট থানার গরীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এবং তিনি ১৯৮৩ সালের ৩০শে অক্টবর ইন্তেকাল করেন। মেহেরপুরের শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে সাফদার আলী এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
মোঃ আব্দুল হান্নানঃ ইতিহাস খ্যাত ও মুক্তিযোদ্ধা এমএ হান্নান অবিভক্ত বাংলায় নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভক্তির পর আমঝুপিতে বসবাসের জন্য সম্পত্তি বিনিময় করেন। আমঝুপিতে থাকাকালিন সময়ে জীবিকার সন্ধানে চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। তারপর বাংলাদেশ আওয়ামীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামে বিভাগীয় শ্রমীকলীগের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঐতিহাসিক চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেন। তাঁর নামে চট্টগ্রামে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম করণ করা হয়েছে।
ডক্টর মোঃ সামসুজ্জোহাঃ মেহেরপুর জেলার আরেক কৃতি সন্তান ড. মোঃ সামসুজ্জোহা বাংলা ১৩২৯ সনে ৯ই আশ্বিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নিজ যোগ্যতায় ১৯৬৩-১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এবং ১৯৭৩-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৭-১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি ইরাকে চাকরি করেন।